আম কি সবাই খেতে পারবেন

আম যে সুস্বাদু ফল, সেই সুখ্যাতি আছে বিশ্বজুড়ে। আম (বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica) বাংলাদেশে সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটি খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘সুপারফুড’। পাকা আমের ভেতর প্রায় ৮০ ভাগ পানি, সঙ্গে কিছু ভিটামিন ও মিনারেলস, চর্বি এবং বেশ কিছু পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তবে এতে কোনো কোলেস্টেরল নেই।

আমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি–অ্যালার্জিক, অ্যান্টি–ক্যানসার, ইমিউনো মডুলেটরি উপকার রয়েছে। ১০০ গ্রামের একটি আমে মাত্র ৬০ ক্যালরি থাকে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই মজাদার ফলটি সবাই কি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবেন?

কোন ফল বা খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী, সেটা ঠিক করা হয় দুটি সূচকের (ইনডেক্স) মাধ্যমে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড ইনডেক্স।

ডায়াবেটিস

আমের গড়পড়তা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫১-৫৬–এর মধ্যে, অর্থাৎ মাঝারি মাত্রার। একজন ব্যক্তির রক্তে শর্করা সুনিয়ন্ত্রিত থাকলে তিনি খাদ্যতালিকায় নির্ধারিত ফলের স্থানে একটি আম খেতে পারবেন।

আবার প্রতি ১০০ গ্রাম আমে সুগার থাকে প্রায় ১৪ গ্রাম, যা তুলনামূলক বেশি। তাই আপনার প্রতিদিন কতটুকু শর্করা ও ক্যালরি দরকার, সেই হিসাব করে আম খেতে হবে। তবে আমের জুস করে খাওয়া যাবে না। কারণ জুসে ফাইবার থাকে না এবং জুস করলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেড়ে যায়।

কিডনি রোগ

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সঠিক পথ্য নির্বাচন। রক্তের ইলেকট্রো লাইটস, হিমোগ্লোবিন, ইউরিক অ্যাসিড, রক্ত ও প্রস্রাবে অ্যালবুমিনের পরিমাণ এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাভেদে একজন কিডনি রোগীর পথ্য নির্বাচন করতে হয়। প্রতি এক শ গ্রাম আমে প্রায় ১৬৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকে।

কিডনি রোগীদের ফল নির্ধারণ করার সময় অক্সালিক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক কিছুই বিবেচনা করতে হয়। এখন আপনার রক্তের পটাশিয়াম, ইউরিক অ্যাসিড নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকলে নির্দিষ্ট মাত্রায় আম খেতে পারবেন। যাঁরা ডায়ালাইসিস করেন, ডায়ালাইসিসের দিন একটি আম খেতে পারবেন।

  • নাজনীন এস মৌসুমী, পুষ্টিবিদ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/15nkjwlkj9

Recommended Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *