কর্মোদ্যম বাড়াতে চান? এই ৭ বিষয় মেনে চলুন

তুমুল প্রতিযোগিতার এই পৃথিবীতে বাড়ছে কাজের চাপ, বাড়ছে ব্যস্ততা। কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে থাকতে একঘেয়েমিও পেয়ে বসে। কমতে থাকে কর্মোদ্যম। এমন পরিস্থিতি এড়াতে চাই জীবনধারার পরিবর্তন।

১. কাজের বিভাজন

কর্মক্ষেত্রে এবং পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে নিজের কাজগুলোকে গুরুত্ব অনুসারে ভাগ করে নিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি কাজগুলোর প্রতি বিশেষ যত্নবান হোন। এগুলো দিনের প্রথম ভাগেই সেরে ফেলতে চেষ্টা করুন। সব কাজ একার পক্ষে সামলানো সম্ভব না হলে অন্যদের সাহায্য নিন। কর্মক্ষেত্রেও আপনার সহযোগীর প্রয়োজন হতে পারে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা জানান।

২. মানসিক চাপ সামলান

কাজের চাপে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মনে। কর্মব্যস্ততায় হয়তো পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো হচ্ছে না। এতেও মন হতে পারে ভারাক্রান্ত। অপরাধবোধেও ভুগতে পারেন কেউ। তাই মনের যত্ন নিন। মনকে একদিকে নিবদ্ধ রাখুন। শিথিলকরণ ব্যায়ামের সহায়তা নিতে পারেন। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে।

৩. খাবার থেকে শক্তি

এমন খাবার বেছে নিন, যা থেকে শর্করা শোষিত হতে লম্বা সময় লাগে। খাবারে প্রয়োজনীয় মাত্রায় আমিষ রাখুন। অলিভ অয়েলের রান্না খেতে পারেন। হোল গ্রেইন বা গোটা শস্য বেছে নেওয়া ভালো। অর্থাৎ রিফাইনড বা পরিশোধিত শস্যদানা এড়িয়ে চলা ভালো। খাদ্যতালিকায় আঁশসমৃদ্ধ সবজি রাখুন। সকালের নাশতা একটু ভারী হলেই ভালো। সকালের খাবার বাদ দেবেন না। দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকবেন না। ডায়েট কন্ট্রোল করলেও সারা দিনের প্রয়োজনীয় ক্যালরিটা গ্রহণ করুন ধাপে ধাপে। কাজের জায়গায় বাদাম রেখে দিতে পারেন। ক্যাফেইন উদ্যম বাড়ায়। তবে অতিরিক্ত চা-কফি খাবেন না। সকালের কাজ সেরে বেলা ১১টা নাগাদ ১ কাপ চা খেতে পারেন। সতেজ থাকবেন।

৪. পানিশূন্যতা এড়িয়ে চলুন

পানি খেতে হবে খানিক পরপর। পানিশূন্যতার অন্যতম লক্ষণ ক্লান্তি বা অবসন্নতা। তাই নিজেকে পানিশূন্য হতে দেওয়া যাবে না।

৫. নিজেকে সময় দিন

কেবল দায়বদ্ধতা থেকেই সব কাজ করবেন না। নিজের জন্য একটু হলেও সময় রাখুন রোজ, ভালো লাগার কাজে সময় কাটান।

৬. ব্যায়াম ও ঘুম

ব্যায়াম করুন নিয়মিত। শারীরিক পরিশ্রম ভালো ঘুমও নিশ্চিত করে। কাজের জন্য ঘুমের সময় কমিয়ে আনা উচিত নয়।

৭. ধূমপান, মদ্যপান বর্জন

ধূমপান, তামাক ও মদ্যপানে কর্মোদ্যম কমে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন। আগে থেকে এ ধরনের অভ্যাস থাকলে ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে চেষ্টা করুন।

Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/b7pxof6rp5

Recommended Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *