কাঁঠালের বিচির এত উপকার, জানতেন?

লেখা: নাজনীন এস মৌসুমী, পুষ্টিবিদ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

ফলের রাজা আম হলেও পুষ্টিগুণের বিচারে শ্রেষ্ঠ কাঁঠাল। এটি একটি ট্রপিক্যাল ফল, অর্থাৎ উষ্ণ অঞ্চল, যেমন বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা—এসব দেশে ভালো জন্মায়। বাংলাদেশে এটি কেবল জাতীয় ফলই নয়, বেশ জনপ্রিয়ও। বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus। কাঁঠাল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও ফাইটোকেমিকেলসমৃদ্ধ। আবার কাঁঠালের বিচিও নানা রকম পুষ্টিগুণে ভরপুর। গবেষণা বলছে, কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার হয়। একে নিউট্রিশাস টনিক বলা হয়।

প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে শক্তি পাওয়া যায় ৯৮ ক্যালরি। কাঁঠালের বিচিতে যে পরিমাণে প্রোটিন থাকে, তা দেহের দৈনিক চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। এটি স্টার্চ (২২%) ও ডায়েটারি ফাইবারের (৩.১৯%) ভালো উৎস। স্টার্চ হজমে সহায়তা করে আর ডায়েটারি ফাইবার শরীরে প্রবেশ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ হ্রাস করে। সেই সঙ্গে কোলোনের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
এ ছাড়া কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে লিগন্যান, আইসোফ্ল্যালাভিন, স্যাপোনিনসহ ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা অ্যান্টিক্যানসার, অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ, অ্যান্টি–অক্রিডেন্ট, অ্যান্টি–আলসার হিসেবে কাজ করে।
কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি চোখ–সম্পর্কিত একাধিক সমস্যা দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কাঁঠালের বিচি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে সুপরিচিত। এতে একাধিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান জীবাণু দূরে রাখার মধ্য দিয়ে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা খুব অল্প দিনেই রক্তস্বল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/d8cilmawby

Recommended Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *